হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আল-আকসা মসজিদ, গাজা এবং খান ইউনুসে ঈদুল আযহার ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অধিকৃত জেরুজালেম (বায়তুল মুকাদ্দাস) ও গাজাসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৮০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই সমাবেশ এমন সময় অনুষ্ঠিত হয়, যখন প্রতিনিয়ত আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি হামলা, দখলদারিত্ব ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসন চলছে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসে, যেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসনে বহু মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে, সেখানে ফিলিস্তিনিরা এক ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ধ্বংসাবশেষের ওপর দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
এছাড়া, ১৯৪৮ সালের দখলের পরও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের ধর্মীয় ও জাতীয় পরিচয় রক্ষার প্রতীক হিসেবে উম্মুল ফাহেম শহরেও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিভিন্ন দলসমূহ একটি যৌথ বিবৃতিতে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানায়। বিবৃতিতে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনসমূহ এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ সকল মুক্তিকামী জাতি ও জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এই প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ঈদুল আযহাকে “প্রতিরোধ ও ঐক্যের দিন” হিসেবে অভিহিত করে মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আরও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার কমেন্ট